সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ১৭ বনি ইসরাঈল, ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৭। নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* কে মোনাফিক এবং কে মোনাফিক নয় সে বিষয়ে আল্লাহ ছাড়া কেউ অবগত নয়। সুতরাং কোন লোক সহিহ এবং কোন লোক সহিহ নয় সেটা আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ ছাড়া কোন লোক কারো মনের খবর রাখে না। কেউ একটা লোককে সহিহ মনে করলো অথচ মনে মনে সে মোনাফিক অথবা কেউ একটা লোককে সহিহ নয় মনে করলো অথচ মনে মনে সে একজন সহিহ লোক। সুতরাং কোন লোককে সহিহ বা সহিহ নয় সা্যস্ত করা মূলত অযথা কাজ। অযথা কাজের সময় মূলত সময়ের অপচয়। অপচয়কারীকে আল্লাহ শয়তানের ভাই বলায় এ সংক্রান্ত কাজ সুনিশ্চিতভাবে শয়তানী কাজ।সুতরাং হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ।তাহলে হাদিসের উপর আমল হবে কি দেখে? হাদিসের সনদের মান নির্ধারনের পূর্বেই হাদিসের আমল শুরু হয়েছে। সুতরাং হাদিসের আমল হবে এর উপর মুমিনদের আমলের ভিত্তিতে। পূর্বের মুমিনদের সর্ববৃহৎ দলের আমলে পরের মুমিনগণ যে হাদিস পাবেন তারা সে হাদিসের আমল করবেন। সুতরাং হাদিসের সনদ নিয়ে টানাটানি করা একটি অহেতুক কাজ।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* হাদিসের মান নির্ধারন সংক্রান্ত কথা হলো বিশ্বাসঘাতক যুগের লোকদের কথা। রাসূল (সা.) তাদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং তাদের কথা আমলে নেওয়া নিকৃষ্ট বিদয়াত। যারা এমন বিদয়াতে জড়িত হবে তাদের আবাসস্থল হলো জাহান্নাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০