ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম। ৪০ এ চলছিল গাড়ি। একটু সামনে এগোতে ছবিতে ধারণকৃত দৃশ্যটা দেখলাম। একজন মহিলা টেম্পুর পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেতরে চারজন পুরুষ বসে আছেন। অবাক হয়ে গেলাম। বাসে ছেলেরা বসে থেকে মেয়েদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেও আমার শহরে টেম্পুতে এই দৃশ্য দেখা যায়না বললেই চলে। একজন নারী যদি নিজ ইচ্ছায় পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে যেতে চান, বাসের ছাদে করে যেতে চান বিষয়টি খুবই কিউট। আমি সেটা ওয়েলকামও করি। মৌলবাদীদের এই দেশে নারী যত স্বাধীনতা ভোগ করবেন তত দেশ এগিয়ে যাবে এবং মৌলবাদ এর পতন হবে। মৌলবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারী এগিয়ে যাবে এটাই শিক্ষিত, সভ্য, মেধাবী, স্মার্ট, আধুনিক প্রজন্মের একমাত্র চাওয়া।
কিন্তু এই মহিলার কথা ভিন্ন। মহিলা ইচ্ছাকৃত দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন না। ভেতরে বসা রামছাগল গুলো উনাকে বসতে দেননি। এরা সিট ছাড়বেনা। ঐদিকে মহিলা অনেক্ক্ষণ গাড়ি না পেয়ে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মহিলা যদি গন্তব্য স্থলে রিক্সায় যেতেন তবে তীব্র গরমে ভাড়া ৩৫ টাকা। টেম্পুতে গেলে ১০ টাকা। ২৫ টাকা সেভিংস করতে মহিলা দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। ২৫ টাকাকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। জালিমরা বাজারে আগুন লাগিয়েছে। তাই ২৫ টাকাও সেভিংস করতে হচ্ছে।২৫ টাকা দিয়ে আধা কেজি চাউল পাওয়া যায়। আসা যাওয়া বাবদ দিনে ২ বার ২৫ টাকা করে সেভিংস করলে দৈনিক ৫০ টাকা।দৈনিক ৫০ টাকা করে সেভিংস করলে মাসে ১৫০০ টাকা। ১৫০০ টাকা মধ্যবিত্তের একমাসের গ্যাস কারেন্ট খরচ।
চারজন সিংস পুরুষ টেম্পুর ভেতর বসে রইল। নারী দাঁড়িয়ে গেলো। ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন দেখছেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮