somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিটিভির মত প্রাইভেট টেলিভিশন গুলো যখন খুশি বন্ধ/চালু করতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট প্রজেক্ট

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সচিব পিএম কথপোকথনঃ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন বিষয়ক।

পিএমঃ শুনুন টেলি সচিব, আপনারা যাকে তাকে প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়ে, এ কি করেছেন ? সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী বক্তব্য হলেও সবাই দেখি চালাচ্ছে, বিডিআর বিদ্রহ হচ্ছে সবাই লাইভ দেখাচ্ছে, বিরোধীদের মহাসমাবেশ হচ্ছে লাইভ চলছে।কোথাও কোন কন্ট্রোল নেই, বন্ধ করারও সিস্টেম নেই, এক জায়গায় বন্ধ করলেও একশ জায়গায় চলতে থাকে।কি করলেন এই সব ? আমাদের চাই বিটিভির মত এক সুইচে সব বন্ধ, অথবা দেশাত্ববোধক গান বাজবে।সিরিয়ার আসাদের মত কোথাও হাজার হাজার মানুষ মারলেও কেউ যেন না দেখে, না শুনে।

সচিবঃ জী আপা, যথার্থই বলেছেন, স্যাটালাইট টেলিভিশন গুলো মাথায় চড়ে বসছে, এত ভয় দেখালেও কেউ পাত্তা দেয় কেউ দেয় না।কিন্তু চিন্তা করবেন না, একটা রাস্তা আছে, বিটিভির মত এক সুইচে সব বন্ধ, অথবা বঙ্গবন্ধুর ছবি।

পিএমঃ কি বলেন, সচিব! কি ভাবে, তারাতারি বলেন ?

সচিবঃ পথটা হলো স্যাটালাইট মারা।বাংলাদেশে যদিও এখনও স্যাটালাই উৎক্ষেপনের সময় আসেনি, যে না এর ল্যান্ড ও এয়ার ব্রডব্যান্ড বেকবোনের অবস্থ, আসলে কিছুই নেই।তবুও শুধুমাত্র দেশের ডিস টিভিগুলোর জন্য যদি স্যাটালাইট মারা যায়, ব্যায় বহুল অবশ্য, পারপাস কম, তাহলে সবাইকে এই স্যাটালাইট ব্যবহারে বাধ্য করা যাবে।তখন সরকার চাইলে যেকোন সময় সব বন্ধ করে দিতে পারবে।বা কোন বিখ্যাত ভাষন।আমি আপনার টেবিলে সুইচটা রেখে দেব!

পিএমঃ বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করেন।

সচিবঃ ডিস টিভি কিভাবে চলে ? যেমন একুশে টিভিই ধরেন - ঐ যে কাউরান বাজারে একুশে টিভির ছাদে ডিস/এ্যান্টেন ইত্যাদী দেখেন ঐ গুলি দিয়ে চ্যানেলটি তাদের রেকর্ডেড প্রগ্রাম/লাইভ স্ট্রিমিং, সরকার অনুমদিত একটি তরঙ্গ ও স্পেকট্রাম (সাধারনত ৬ এমবিপিএস ) ব্যবহার করে হংকং বেইজ্ড একটি স্যাটালাইটে পাঠায়।সেখান থেকে একুশে টিভির প্যাকেজ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেশের আকশে সেই প্রগ্রাম/স্ট্রিমিং নির্দিষ্ট তরঙ্গে ট্রাসমিট করে।আমাদের ডিস অপারেটররা তাদের ছাদের ডিসের মাথায় থাকা এলএমবি দিয়ে একুশে টিভির সেই তরঙ্গটি রিসিভ করে এবং ক্যবলের ভিতর দিয়ে আমাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়।আমরা একুশে টিভি দেখি।এভাবেই চ্যানেল আই ও সব।এখন ঐ স্যাটালাইটের চাবি সরকারের থাকলে ক্যাবল অপারেটরদের কি কিছু করার আছে ?

পিএমঃ ইউ আর জিনিয়াস ইভিল।

বাংলাদেশের একমাত্র গণমাধ্যম টেলিভিশন সম্পর্কে আপনারা কিছুই জানেন না।যদিও আপনারা সকলেই পরীক্ষার খাতায় "দৈনন্দিন জীবনে টেলিভিশন" রচনাটি মুখস্ত লিখে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসেছেন।আপনাদের না জানার জন্য দেশ প্রতিনিয়ত আরও গভীর থেকে গভীরতর সংকটে পরছে।তাই দয়া করে নিচের লেখাটি পড়ুন ও একটা সিদ্ধান্ত নিন।

ভেরি ভেরি ইমপর্টেন্টঃ দৈনন্দিন জীবনে টেলিভিশন




মোর অন স্যাটালাইট

বিটিভির মত প্রাইভেট টেলিভিশন গুলো যখন খুশি বন্ধ/চালু করতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট প্রজেক্ট


খবরের সারসংক্ষেপঃ ঢাকা, মার্চ ২৯, তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রস্তাব করা হয়।বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট এবং রেডিওগুলো বিদেশি উপগ্রহের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে।বিটিআরসি’র হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের নিজস্ব উপগ্রহ চালু করতে পারলে ভাড়া বাবদ অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।এসপিআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্র“স ক্রাসলসকি বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করতে পারবে।বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, ও স্যাটালাইটটা কি রকম হবে ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শক দেয়ার জন্য সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা দিতে হবে।


ভূমিকাঃ একবিংশ শতাব্দীর ইন্টারনেটের যুগে এসে টেলিভিশনের যুগ কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি! বরং আজও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর গণমাধ্যম টেলিভিশন।যা দিনে দিনে আরও পাওয়ারফুল ও স্বাধীন হয়েছে, মানুষের সহজ থেকে সহজ এ্যাক্সেসের অর্থে।গত দশকের শুরুতেই মোবাইল ব্রডব্যান্ড আবিষ্কারের ফলে ঘর থেকে টেলিভিশন পৌছে গেছে মানুষের হাতে হাতে, মোবাইলের ভেতর।আজ বাংলাদেশ ছারা বিশ্বের সব জায়গায় দেখা যায়, ভারতেও মোবাইলে টেলিভিশন দেখা যায়।বিশ্বের অধিকাংশ চ্যানেল গুলো এখন তাদের টেরেস্টারিয়াল, স্যাটালাইট এর সাথে নেট ভার্শন টেলিকাস্ট করে।থাইল্যান্ডেও আজকাল হোম টিভিতে ডিসের ক্যাবল না দিয়ে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়া যায়।আজ বলা যায় বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সাথে টেলিভিশনের দেখা হয়ে গেছে অনেক আগেই, এবং টেলিভিশনই পৃথিবীর সাতশ কোটি মানুষের অন্যতম গণমাধ্যম এবং ত্রিশের দশকের টেলিভিশন স্যটালাইট টেলিভিশন, নেট টেলিভিশন, আইপি টেলিভিশন, অনডিমান্ড নামে টেলিভিশন নামে হাজার হাজারের থাকবে।।এখানে এসে আমাদের মনে পরে, এদেশে, এই সেদিন ৮০ দশকেই পাশের বাড়িতে টিনের ফুটো দিয়ে টেলিভিশন দেখছিলাম, বাড়ির মালিক তা দেখে তাড়া করেছিল।স্কুলের পরীক্ষায়ও আমরা টেলিভিশন রচনা লিখেছি, তবে মুখস্ত করে লিখায় জিনিষটা আমরা আজও চিনতে পারিনি।এই দুনিয়ায় আমরা আজও কোথায় পরে আছি সেই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলতেই এই লেখা, একটু ধর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইল।

দেশে দেশে গণমাধ্যম হিসাবে টেলিভিশনের টেলিছমাতিঃ প্রায় শত বছরের পুড়ানো গণতন্ত্রের প্রতীক এই গণমাধ্যমের ধারনার জন্ম ১৮৭৩ সালে।অবশ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কমার্শিয়াল টেলিভিশন ব্রডকাস্ট শুরু হয় ১৯২৯ সালে, ইংল্যান্ডে, ১৯২৮ সালে আমেরিকায়, ভারত ১৯৫৯, বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান ) ১৯৬৪ সাল।এখানে লক্ষ্যনীয়, টেলিভিশন সম্পর্কে স্বাধীনতার আগে আমারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমসাময়িক থাকলেও স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের প্রতীক, এই টেলিভিশনের উপর নেমে আসে মহাঅমানিশা।নব্য কুৎসিত মনের শাসকরা গলা টিপে ধরে এই গণমাধ্যমের।অথচ গত চল্লিশ বছরে বিশ্বের প্রায় সব দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা, গণসচেতনতা, স্থানীয়/জাতীয় বিনোদনের পরিসর, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিরব বিপ্লব এনে দিয়েছে টেলিভিশন।এদিকে টেলিভিশ নিয়ন্ত্রন করে বাংলাদেশ ও ভারতের মত কিছু দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের জনগণকে বিশ্ব থেকেই শুধু পিছিয়েই রাখেনি, সমগ্র জতীকে মূর্খ, অজ্ঞ ও চারপাশ সম্পর্কে অসচেতন করে রেখেছে।নাম দস্তখত ও সামান্য জীব, জড়ের কিছু তথ্যের গণশিক্ষা, সার্বজননীন শিক্ষার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও গণমানুষকে মূর্খই রেখেছে।উল্টো ভাবে, স্থানীয় টেলিভিশনের মাধ্যমের দেশের প্রান্তিক জনসাধারনকে তাদের হাতের কাছের জরুরী খবর, উন্নয়ন কর্মকান্ড সংবাদ এবং বিনোদন পৌছে দিয়ে, কল্যাণমুলক কর্মকান্ডের পক্ষে জনমত তৈরী করে, শিক্ষার প্রসার, কৃষি, শিল্প, সংস্কতি, ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌছে দিয়ে অতি সহজসাধ্য ও স্বল্পতম সম্পদ ব্যবহার করে গণমানুষকে শিক্ষিত করে ফেলতে পারতো অন্তত এক দশক আগেই।বাস্তবতা হলো আমরা একে আজও অবরুদ্ধই রেখেছি।বেসিক শিক্ষাই নেই এরকম প্রান্তিক ১২ কোটি মানুষকে শুধু বিটিভি দেখতে দিচ্ছি।যেখানে শহরে ২৬ টা ডিশ চ্যানেল, বৃটেনে যেকোন জায়গায় একটি টিভি চালানো মানে ২০০ ফ্রি চ্যানেল পাওয়া।জগৎ সর্বদাই উল্টা, অথবা গোষ্ঠির দখলে।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের - বিটিভির সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ১৯৬৪ সালে ২৫ শে ডিসেম্বর (তৎকালীন পাকিস্তান) বিটিভির মাধ্যমে বাংলাদেশর টেলিভিশন গণমাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়।গত প্রায় দেড় দশক জুড়ে দেশে বেশ কয়েকটি স্যাটালাইট টেলিভিশন চালু হলেও আজও এই বিটিভিই দেশের গণমানুষের এক মাত্র গণমাধ্যম কেননা দেশের গ্রাম গঞ্জের ১০ কোটি জনগণের সংবাদ বিনোদন সব এই বাংলাদেশ টেলিভিশন অর্থাৎ বাধ্যতামুলক বিটিভি।যেমন রাজধানী ও জেলা শহরগুলো বাদ দিলে আপনি যেকোন উপজেলার সদরের দুই তিন হাজারের বেশি ডিস টিভি কানেকশন পাবেন না।তারমানে ডিসের দর্শক বিশ ত্রিশ হাজার জনগণ অথচ উপজেলায় ২ থেকে ৫ লাখ জনগণ বসবাস করে।অর্থাৎ বাকি ৯০% জনগণকে আজও তাদের বহুকষ্টে কেনা এক একটা টেলিভিশনে, ঘরের দোকানের চালের উপর সিলভারের এন্টিনা লাগিয়ে বাধ্য হয়ে শুধু বিটিভিই দেখতে হয়।বিটিভির এক জরীপে বলা হয় দেশের ৯৮% জনসাধারনের টেলিভিশন এ্যাক্সেস আছে, নিজের ঘরে, পাশের বাড়িতে, গ্রামে বা দোকানে।আমরা বলি বাংলাদেশের ৮৫% দর্শক ভারতের দখলে, ব্যাখ্যা পরে দিচ্ছি।

দেশের টেলিভিশনের বর্তমান অবস্থাঃ আমাদের দেশে যারা সুশিল, যারা আজকাল স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা বলে, দেশ সম্পর্কে তাদের জানার গভীরতা নিয়ে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি।তাদের অজ্ঞতার জন্য আজও দেশের ৭০% জনগণের একমাত্র গণমাধ্যম বিটিভি।গণমাধ্যমের করুন ইতিহাস এখানে সুদীর্ঘ কালের।টেলিভিশনকে এখানে শাসক/বিরোধীরা বরাবর নিজেদের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী শত্রু বিবেচনা করেছে, তাই সরকারী বিরোধী দুইয়েই এর স্বাধীনতার না দেয়ার বিষয়ে নিভৃতে ঐক্যমতই পোষন করেছে।ছোট বেলায় গল্পে শুনেছেন শয়তান শয়তানের বন্ধু, অথচ এখানে যদি দেখেন শয়তান শয়তানের খারাপ আরও বেশি বলে।তাহলে ধোঁকা খাবেন না।আর একটু গভীরে গেলে দেখবেন, শয়তানে শয়তানে বন্ধুত্ব ঠিকই আছে।টেলিভিশন, ইন্টারনেট, উন্নয়ন, জনগণের মুক্তি ইত্যাদী বিষয়ে তাদের কোন যুদ্ধ নাই।নব্বুই এর দশকে দেখেছি শহুরে সুশিলদের সে কি তীব্র আন্দোলন।তখন বিটিভি নিয়ে সাহেব বিবি গোলামের বক্স শিরোনামে পত্রিকায় সপ্তাহে তিনটা ফিচার থাকতো।তখন বিটিভির স্বায়ত্বশাসন স্লোগানটি রাজনৈতিক দলগুলোর ডিজিটাল বাংলাদেশের মত মুলা ছিল।তীব্র দাবীর মুখে সরকার বাধ্য হয়ে এক তৃতীয়াংশ জনগণকে একমাত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাউথপিস দেখা থেকে মুক্তি দেয় ১৯৯৮- ১৯৯৯ সালের দিকে প্রাইভেট স্যাটালাইট টেলিভিশনের জন্ম অনুমোদন দিয়ে।উল্লেখ্য বিশ্বে প্রথম ডিস টিভি ছিল ১৯৬২ সালে।

বাংলার হিজরা প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলঃ দেশে আজকাল প্রায় ২৬ টা স্যাটেলাইট টেলিভিশন দেখা গেলেও টেরেস্টারিয়াল ব্রডকাস্টিং এর অনুমতি শুধু বিটিভিরই আছে।উল্টো আইন করে দশ এগার কোটি জনগণকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একমাত্র বিটিভিতে বন্দি করে রেখেছে।দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থার কারনে ২০১২ সালেও এখানে ৭০% জনগণ এই ডিস টেলিভিশনে এ্যাক্সেস থেকে বঞ্চিত।তাই অধিকাংশ সময় গ্রামের জনগণ ভিসিডিতে ডিপজলের অশ্লিল বাংলা ছবি দখে।আপনারা বাংলাদেশের স্যাটালাইট টেলিভিশনকে নিজের দেশের বাইরে সারা বিশ্বে নিয়ে গিয়ে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী জন্মদিন পালন করে, এমনকি ভারতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলো দেখা যায় না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী থেকে ক্যাবল অপারেটর পর্যন্ত ডিপলোমেটিক ইভেন্ট ওরগানাইজ করেন।অথচ এই সুশিল সমাজের ধারনাতেও নেই যে, নিজের দেশের দশ কোটি জনসাধারন এখনও কভারেজের বাইরে।আন্দজও করতে পারেনা কৃষকের ঈদ উদযাপন যে করছে তা দেশের ৯৫% কৃষকের বাড়ির টিভি সেটে আসে না।সেইযে নব্বুই এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সাহেব বিবি গোলামের বাক্স নাম দিয়ে নিজেদের জন্য স্যাটালাইট টেলিভিশন নিয়ে গেলেন, ৭০% জনগণকে ঐ বিটিভি বাক্সে বন্দী রেখে।২০০০ সালে আর একটি টিভি মানে একুশে টিভিকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হলে আমাদের গ্রামের জনগণ আর একটা চ্যানেল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।গত কেয়ারটেকার সরকার আমলে দেশের অন্যান্য চ্যানেলকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার দশম দিনেই তথ্য মন্ত্রনালয়ের যে আইনতে প্রধানমন্ত্রী দস্তখত করেছিলেন সেটা হলোঃ টেরেষ্টারিয়াল টেলিকাস্ট শুধু মাত্র বিটিভির জন্য সংরক্ষিত রাখা হলো।বোঝেন ডিজিটাল বাংলাদেশের আরম্ভ। আবার সেই বিটিভি আর ডিপজলের ছবি।এতটা বছর গেল খেয়ালটুকু পর্যন্ত করছেন না।

ছবিতে দেখুন দোকানে ডিপজলের ছবি চলতেছে।ডিপজলের ডায়ালগ "আইজ এইহানে তান্ডব অইবো, মা মেয়ে এক সাথে রেপ হবে।আমি নিজের কানে শুনেছি।এই মুহুর্তে সারাদেশে এই রকম অন্তত দশ লাখ দোকান চালু আছে।

টেরেষ্টারিয়াল টেলিভিশনঃ এটা আবার কি ? টেরেস্টারিয়াল টেলিকাস্ট মানে হলো এয়ার টিভি বা Air টেলিভিশন যা আমারা বিটিভি নমে চিনি।আজ এই কমপিউটার ইন্টারনেটের যুগেও পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালি কমিনিকেশনের অবস্থানেই আছে এই টেলিকাস্ট।কারন ভেরিহাইফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে টেরেস্সারিয়াল টেলিকাস্ট করায় এই টিভি দেশের প্রত্যন্ততম এলাকার বাতাসে শুধু একটি সিলভারের এ্যান্টেনা দিয়েই ধরা যায়।আর কোন খরচ নাই।দেখতে আর পয়সা লাগে না।যেখানে গ্রামের মানুষের তথ্যের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে আগামী বিশ বছরেও টেলিভিশনই থাকবে সেখানে দেশের দুইটা VHF চেনেলের একটা বিটিভির জন্য ব্যবহার করছে আর একটা গত ত্রিশ বছর যাবৎ বসিয়ে রেখে দেশের অপরিমেয় ক্ষতি করেছে।টেরেস্টেরিয়ালের এই রাস্তাটা কত শক্তিশালী যার প্রতিটি ভয়েস ও ছবি দিয়ে দেশের পনের কোটি মানুষের ঘরে যাওয়া যায়।সেখানে প্রাইভেট টিভিচেনেল গুলোকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচার করার অনুমতি না দিয়ে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছে।

বাংলার গণমাধ্যম ভারতের দখলেঃআমাদের সুশিলদের এত গুরুত্বপূর্ন ভয়েসের ছিটেফোটা পেলেও গ্রামের সাধারন মানুষের ভাগ্য বদলে যেত। আর তা না থাকার ফাঁকে, আজকাল তারা শুধু ভারতের চ্যানেল দেখে, টেরেস্টারিয়ালের ৫০% এর উপর ভারতের চ্যানেলের কভারেজে চলে গেছে।গত তিন চার বছরে ভারতের একটি প্রদেশের মত দেশের ৭০% জনগণ ভারতের গণমাধ্যম দখল করে নিয়েছে।কোন রকম আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে, সিম্পলি অবৈধ্য ভাবে।
বিষয়টি উপরের ছবি ও নিচের লেখাটি দেখুনঃ যদি আপনাদের বোধের কোন উদয় হয় তবে জাতি সত্যি বড় উপকৃত হবে।

ছবিতে উহা এক প্রকারের ডিস।বলতে পারেন ছোড ডিস।তলে তলে বাংলাদেশের স্যাটালাইট টেলিভিশন বাজার ৮৫% ভারতের ঘরে, শহরের নারী দর্শক তো ৯৮% আগে থেকেই ছিল সাথে ছেলেমেয়েদেরও অভ্যস্ত করছে আগে থেকেই।সেখানে গত তিন চার বছর ধরে এই ডিস স্বচ্ছল গেরস্থের বাড়িতেও চলে গেছে ভারতে।প্রতি টিভি, সিংঙ্গেল পিসের গড় চার্য এককালীন ৬,০০০/= থেকে ১০,০০০/= টাকা, পরে চ্যানেল ভেদে প্রতি মাসে ৫০০/= থেকে ১০০০/= আর ফ্রি চ্যানেল ফ্রি দেখা।কোথাও ডিসের দোকানেও ছোট ছাতা লাগায় অন্য কাজে।এই ডিসের প্রধান বৈশিষ্ট, শুধু ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখা যাবে।বাংলাদেশের ২৬ টি স্যাটালাইট টেলিভিশনের কোনটি দেখা যাবে না - উল্লেখ্য, যদি এনটিভি, একুশে টিভি ইত্যাদী দেখা যেত তাহলে পুলিশ গিয়ে ধরে আনতো - সরকার খবর রাখেনা ভাবার কোন কারন নেই।সামনে যদি কোন দেশি চ্যানেল আসতে দেখেন, বুঝবেন প্রাদেশিক সম্পর্কের সুফল।কাজটা সম্ভবত বিটিআরসি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রোষ্টাদের সহযোগিতায় হয়েছে।এই জিনিষে বাংলাদেশের কোন চ্যানেল দেখা যায় না, আর এই জিনিষের মার্কেট বা দর্শক বাংলাদেশের বর্তমান ২৬ টা স্যাটালাইট/ডিস টিভির চেয়ে তিন গুন বড়, কারন দেশের ডিস টিভি নেটওয়ার্কের কভারেজে সর্বোচ্চ চার কোটি জনগণ বসবাস করে আর সান/টাটার কভারেজ সমগ্র বাংলাদেশ ১৬ কোটি জনগণ, বিটিভির সমান।আজ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ সেটের উপর অলরেডি বিক্রি হয়ে গেছে।প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ টাকা হলে মাসে ২৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে, সম্পূর্ন অবৈধ্য উপায়ে, হয়তো ফেন্সিডিল আমদানীতে ! জেলা, উপজেলায় টাটা স্কাই এর এজেন্ট আউটলেটে বিভিন্ন মূল্যের কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয় রুপিতে টাকা কনভার্ট করে সেই পরিমান বিল প্রদান করা যায়।এই জিনিষের বাংলাদেশি এজেন্ট কে, সে একজন বিষেশ ইন্ডিয়ান পিস, তার প্লান শুধু মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা ইন্ডিয়ায় পাচার না।বাংলাদেশের প্রাইভেট চ্যানেল গুলোকে পথে বসাইয়া দিন রাইত ২৪ ঘন্টা শিলাকা জোয়ানী দেখানো ও বাংলার আপাময় জনগণকে কোলকাতার টভি চ্যানেল দেখানো।

এর বিকল্প ছিল দেশের কেউ, দেশের ২৬ টা স্যাটালাইট টেলিভিশনের একটা প্যাকেজ করে মাসে ৫০ টাকা বিলে দেশের ৯৫% জনগণকে দেশের মুলধারার গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত করা।কিন্তু এটা করতে আইন করতে হবে।আর আইন করে সে আইন করা বন্ধ আছে।আবার দেশি ডিস টেলিভিশন গুলোকে সামান্য লাইসেন্স মানি নিয়ে ট্যারেস্টারিয়াল টেলিকাস্ট/এয়ার টিভি অনুমোদন দিয়ে দেয়া যেত, সংসদ টিভির বদলে একুশে টিভির টেরেস্টারিয়াল সেটাপটি কয়েকটি চ্যানেলকে ভাগ করে দেয়া যেত।তাতে গ্রামের গরীব জনগণ বিনা পয়সায় শুধুমাত্র সিলভারের একটি এ্যান্টেনা দিয়ে দেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেল দেখতে পারতো।জনগণ বিটিভি দেখে দেখে আজ যার পর নাই কাহিল ছিল, তাই টাটা স্কাই পাইয়া মুড়িমুড়কির মত কিনতেছে।এর আর একটা বিকল্প ছিল, দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক র্গুলো। ২০০৭ সাল থেকে মোবাইল সীমে বিশেষ এক রকম টেলিভিশন মোডেম পেছনের জ্যাকে দিয়ে স্যাটালাইট টেলিভিশন চ্যানেল দেখানোর পার্মিশন চেয়ে বসে আছে ওরা - বিটিআরসিতে ফাইলটি পাবেন।সে ক্ষেত্রেও গ্রামের জনগণ মাসে পঞ্চাশ একশ টাকার দিয়েও মোবাইল সীমে ডিসের লাইন নিতে পারতো।

তাই আপনারা সোচ্চার হউন, শুধু ভারতে আমাদের চ্যানেল না, দেশে বাংলাদেশি চ্যানেল পৌছানোর দাবী নিয়ে।


এদিকে এই অবস্থায় সেদিন সরকার ঘোষনা দিয়েছে দেশের স্যাটালাইট টেলিভিশন গুলোকে আর বাইরের স্যাটালাইটে স্পেইস ভাড়া নিতে হবে না, স্যাটালাইট টিভির জন্য আসছে বঙ্গবন্ধু-১ নামে, দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ।

আরেক ঘোড়ার আগে হাজার কোটি টাকার লাগাম কেনার প্রকল্প হিসাবে বাংলাদেশে ডিস টেলিভিশনের জন্য হাজার কোটি টাকার স্যাটালাইট উৎক্ষেপন করতে যাচ্ছে।দেশে বর্তমানে ২৬ টা ডিস টিভি আছে, সামনে আরও হবে।এ গুলো চালাতে বিদেশি স্যাটালাইটে স্পেইস ভাড়ায় প্রতি বছর দেশের অনেক টাকা/বৈদেশিক মূদ্রা চলে যায়, এই ফাঁকে মহাসমারহে টাকা পাচারও হয়, তাই শুধু ডিস টিভির এই মার্কেট ধরার জন্য দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন করা হচ্ছে।হাহালুখুগে।

ডিস টিভি কিভাবে চলে ? যেমন একুশে টিভিই ধরেন - ঐ যে কাউরান বাজারে একুশে টিভির ছাদে ডিস/এ্যান্টেন ইত্যাদী দেখেন ঐ গুলি দিয়ে চ্যানেলটি তাদের প্রগ্রাম/লাইভ স্ট্রিমিং সরকার অনুমদিত একটি তরঙ্গ ও স্পেকট্রাম (সাধারনত ৬ এমবিপিএস ) ব্যবহার করে হংকং বেইজ্ড একটি স্যাটালাইটে পাঠায়।সেখান থেকে একুশে টিভির প্যাকেজ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেশের আকশে সেই প্রগ্রাম/স্ট্রিমিং নির্দিষ্ট তরঙ্গে ট্রাসমিট করা হয়।আমাদের ডিস অপারেটররা তাদের ছাদের ডিসের মাথায় থাকা এলএমবি দিয়ে একুশে টিভির সেই তরঙ্গটি রিসিভ করে এবং ক্যবলের ভিতর দিয়ে আমাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়।আমরা একুশে টিভি দেখি।এভাবেই চ্যানেল আই দেশের ৭০% মানুষের কাছে যেতে না পারলেও সারা বিশ্বে চলে যায়।

কিন্তু স্যাটালাইটের কাজের সামান্যই এই ডিস টিভি তাছারা কোন দেশে একটি স্যাটালাইট দিয়ে গোল বিশ্বের সবদিকে টেলিকাস্ট করতে পারবে না, বাইরে স্পেইস ভাড়া নিতেই হবে।আসলে শুধু এই ডিস টিভির স্যাটালাইট বিশ্বের কোন দেশ উৎক্ষেপন করে না।কারন বিষয়টা অনেকটা পদ্মা নদীতে শুধু ছাগল পারাপারের জন্য শত কোটি টাকা দামে একটা হাইটেক ফেরী কিনার মত, ফেরীতে ছাগল ম্যা ম্যা করছে ঔ দিকে ভাঙ্গা লঞ্চে পাবলিক ডুবে মরছে। আরে আবুল কয়দিন সবুর কর, কয়দিন পরে পদ্মায় ব্রীজ হইতেছে, প্রয়োজনে তর ছাগল নিয়া হাইট্টাও পার হইতে দিমুনে।

আসলে স্যাটালাইট টেলিভিশনের এই সিস্টেমটাই সরকারের আসল লক্ষ্য।বিডিআর হত্যকান্ড থেকে শুরু করে শাসকেরা দেখেছে বিটিভির মত এদের কন্ট্রোল করা যায় না, লাইভ দেখাইতে থাকে।তানা হলে সিরিয়ার আসাদের মত দেশের কোথাও হাজার হাজার মারলেও কেউ জানতেই পারবে না।এই উদ্দেশ্য সফল করতে দেশি স্যাটালাইট মেরে তাতে সবাইকে বাধ্যতামূলক করে এক সুইচে যখন খুশি বন্ধ করা যাবে।


কেউ কেউ বলবেন, কেন ডিস টিভির জন্য স্যটালাইট হবে ? এতে স্যাটালাইট ইন্টারনেট হবে, স্যাটালাইট সার্ভিলেন্স ও পাবলিক ক্যামেরা হবে, রোড গাইডার ঠিকানা ফাইন্ডার হবে, পদ্মা নদীর জটকা পাহারা হবে, রোড ট্রাফিক কন্ট্রোল হবে, মহাসমাবেশ অবজার্ভেশন হবে, টিপাই মুখে কি হচ্ছে লাইভ দেখা হবে।উপরের ছবিটিতে আমার বন্ধু যেমন ঘরে শুয়ে স্যাটালাইট দিয়ে তার বাড়ির সামনের রাস্তা লাইভ দেখছে।তাছারা ভারত স্যাটালাইট উৎক্ষেপনের অনেক আগে থেকেই দিল্লি বসেও ঢাকার রাস্তার ইটটাও দেখতে পারে, প্রধান মন্ত্রীর অফিস পাহারা দিতে পারে, ২০০৯ সালেও আমরা পিলখানায় আমাদের ভাইদের হত্যা করার সময় হেলিক্পটার দিয়ে উকি ঝুকি মেরে চলে আসলেও ভারত ঘরে বসে সমস্ত হত্যা কান্ড লাইভ দেখে।আমরা ভাড়ার সাবস্ক্রিপশন এই কাজ করবো না, বঙ্গবন্ধু-১ পাঠাবো ও সেই সকল সমস্যা দূর করবো।

তাদের বলবো, ভাই ইট্টু থামেন, নিচে দেখুন, আপনার মাটিতে ও নিকটবর্তী আকাশে তাকান, আগেই অরবিটে লাফ দিয়েন না, ইয়ার্কি মাইরেন না।আচ্ছা কার কম্পানীর সাথে যেন চুক্তি হচ্ছে !

আগে বাংলার ইন্টারনেটের অবস্থা দেখেন যা দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ হবে। ডিজিটাল বাংলাদের এক হরিলুটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।আপাতত এখানে দেখুন।

দ্রঃব্যঃ দেখি সামুর মুডুদের এই পোষ্ট গুরুত্বপূর্ন মনে হয় কিনা। অথচ গতকাল "জানা আপু সত্য বলছেনা বা সত্য প্রকাশ করতে দিচ্ছে না" বলায় আমাকে যারপর নাই জ্ঞান দিলেন। এখানে জানা পু .... এটিএন নিউজে টক দিচ্ছেন। আজই প্রমান হয়ে যাক আমি পোষ্টটিতে মিথ্যা বলেছি।পোষ্টটির গুরুত্বের বিবেচনা পাঠকের উপর ছেরে দিলাম।আমার প্রেজেন্টেশন ভালো না, তাই আপনার দেশের প্রতি অন্যায় করবেন না, আমি তুচ্ছাতি তুচ্ছ আমার দোষে এত গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি স্কিপ করবেন না।আরেকবার পড়ুন, ভাবুন ও স্টিকি করার দাবী তুলুন।

লাইক টু সাপোর্ট দ্যা মুভমেন্টঃ Terrestrial Telecast in bd: Free Villagers



পোষ্টটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি পূর্নাঙ্গ-রুপরেখা সমালোচনা আকারে লিখতে চাই।তাই মুডুরা এখনই স্টিকি কইরেন না।পাঠক, আপনারা দাবী চালাইয়া যান, এরা সহজে সত্য প্রকাশ করবে না।

তথ্যসূত্রঃ Digital Bangladesh Warriors

যেই ডিস টিভির জন্য বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট উৎক্ষেপন তার খবর কতটুকু রাখেন ? বাঁচতে হলে জানতে অথবা ... বাঁশ ...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×